মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের পদ্ধতি এবং বিভিন্ন উপায় ইত্যাদি। ইত্যাদি বাংলাদেশ মৎস্য চাষ।

 ১।মাছ দিনের বেলায় খাবার গ্রহণ করে।এজন্য চাষের পুকুরে দিনের প্রয়োজনীয় খাবার সামনে দু’ভাগে ভাগ করে একভাগ সকালে এবং অন্যভাগ বিকালে দিতে হবে অন্যদিকে বলে এদেরকে সন্ধ্যা রাতে খাবার দিতে হবে।

২।প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন মাছের রেনু পোনার জন্য দেহের ওজন 10_ ২০% আঙ্গুলে পুনার জন্য 5_১০% এবং বড় মাছের জন্য ৩_৫%আহারে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে পোনা মাছ চাষের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার এবং মিশ্র চাষের ক্ষেত্রে 15 দিন বা মাসে একবার

 জাল টেনে কয়েকটি মাছের ওজন নিয়ে পুকুরে সার সর্বমোট কতটি মাছ ছাড়া হয়েছিল তা দিয়ে গুণ করলে পুকুরের মাছের ওজন পাওয়া যাবে এবং দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে খাবারের পরিমাণ ঠিক করে দিতে হবে।

৩।পুকুরে গ্রাসকাপ ও সরপুঁটি চাষ করা হলে এদেরকে ক্ষুদিপানা কোটি প্রণাম হেলেঞ্চা কচুরিপানা নরম অংশ বিভিন্ন উদ্ভিদের পাতা যেমন বাঁধাকপি কলাপাতা কেটে পুকুরে সরবরাহ করতে হবে উদ্দেশ্যের গাছের ডাল দিয়ে তৈরি করতে হবে।

 একটি খুঁটি সাহায্যে পুকুরের পানিতে স্থাপন করতে হবে যেন সবসময় একই স্থানে থাকে এবং উপরোক্ত খাদ্য হিসেবে হতে হবে মাঝে মাঝে একটি পরিষ্কার করতে হবে।

৪।শুকনো খাবার পানির উপরে যা খাবার 30 থেকে 60 সেন্টিমিটার নিচে স্থাপিত খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে এতে খাদ্যের অপচয় কম হবে।

৫।প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পুকুরের চারপাশে তিন থেকে চারটি নির্দিষ্ট স্থানে খাবার দিতে হবে এতে করে খাদ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

৬।শীতকালে মাছের বৃদ্ধি কম হয় বলে খাদ্যের প্রয়োগের হার স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক বা তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে আনতে হবে।

৭। পুকুর অত্যধিক সবুজ হয়ে গেলে খাবার প্রয়োগের সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।

৮।খাদ্য প্রয়োগের যথেষ্ট সময় পর খাবার থেকে গেলে বুঝতে হবে খাদ্যের পরিমাণ বেশি হয়েছে সেক্ষেত্রে পরিমাণ কমিয়ে দিতে।

মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে ভালো মান-সম্মান নির্ধারিত খাদ্য উৎপাদন সংগ্রহ করতে হবে উৎপাদন সম্ভব প্রয়োজনে আটা পেশা মেশিনে বাড়িতে ভালো করে চূর্ণ বাঁকুড়া করে নিতে হবে এবং চালানি দিয়ে চেলে নিতে হবে সূত্র অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদন সহ একটি একটি করে মেপে নিয়ে মিক্সার মেশিনে বা একটি বড় পাত্রে ভালোভাবে মেশাতে হবে।

মেশানো পানি দিয়ে ভালোভাবে তৈরি করতে হবে এখন মন্ডল এর মত তৈরী করে ভেজা খাদ্য হিসেবে মাঠে দিতে হবেমাছের সরবরাহ কৃত খাবার পানিতে বেশি স্থিতি রাখার জন্য ভান্ডার হিসেবে আটা ময়দা গুঁড়া ব্যবহার করা যায় ভেজা দ্র খাবার প্রতিদিন প্রয়োগের পূর্বে পরিমাণ মতো তৈরি করতে হবে।

আবার এমন দিয়ে সহজে পদ্ধতিতে স্বল্পমূল্যের দেশীয় প্লেট মেশিনের সাহায্যে প্লেট বা দানাদার খাবার তৈরি করা যেতে পারে ।এক্ষেত্রে দানাদার খাবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য বায়ুরোধী প্লাস্টিক ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।

 কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকে যা মাসের জন্য ক্ষতিকর পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হবে ভে।পানি মাছের খাদ্য তৈরি ব্যবহার করা যাবে না সুষম খাদ্য তৈরীর জন্য নির্বাচিত খাদ্য উৎপাদনের সাথে ০.৫_১%ভিটামিন ও খনিজ লবণের মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ কিনতে পাওয়া যায়।

https://www.incometips.xyz/feeds/posts/default